দোযখে অবস্থানের সময় এবং আযাবের বয়াবহতা - The Only True Religion is Islam
Friday, July 13, 2018

দোযখে অবস্থানের সময় এবং আযাবের বয়াবহতা











(আল্লাহ পাক মুনাফিক কাফেরদিগকে দোযখের অগ্নির ওয়াদা করিয়াছেন

--(যাহারা স্থীয় প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে নাই, তাঁহাদের জন্য দোযখের কঠিন শাস্তি রহিয়াছে এবং উহা নিকৃষ্টতর প্রত্যাবর্তন  স্থল যখন তাহারা উহার মধ্যে নিক্ষিপ্ত গর্জন শুনিবে এবং উহা ফুটিতে থাকিবে যখন উহার মধ্যে কোন একদলকে নিক্ষিপ্ত করা হইবে, তখন উহা ক্রোধোচ্ছাসে ফাটিয়া যাওয়ার উপক্রম হইবে

    অনন্ত কাল  স্থায়ী শাস্তি ভোগ করিবে কাফের মুশরিক মুনাফিকগন
আর যাহারা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করে সত্য, কিন্ত তৎসঙ্গে অন্য কাহাকেও তাঁহার সমকক্ষ বলিয়া মনে করে, যেমনঃ চাঁদ সুরুজ গ্রহ-নক্ষত্র, অগ্নি, দেবদেবী প্রভৃতির কল্পিত মূর্তি প্রভৃতি, তাঁহারা মুশরিক মুশরিকগণ কাফেরদের মত মহাপাপী না হইলেও ইহারাও ক্ষমার অযোগ্য এবং ইহারাও চিরকাল দোযখে বাস করিবে

        আর যাহারা সবচেয়ে অধিক সময় দোযখে থাকিবে তাহারা পঞ্চাশ হাজার বৎসর পর দোযখ হইতে মুক্তি পাইবে অর্থাৎ মহাবিচার সমাপ্ত হইবার অন্ততঃ পাঁচশত বৎসরের মধ্যে কেহই দোযখ হইতে মুক্তিলাভ করিবে না এবং পঞ্চাশ হাজার বৎসর অতীত হইবার পর আর কেহই মুক্তিলাভ করিবে না শুধু তাহাই নহে, সকলের শাস্তির প্রকারও একরূপ হইবে না

আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআন মাজীদে সুরায়ে তাওবায় বলিয়াছেন
ইহারা কোন দিনই দোযখ হইতে মুক্তিলাভ করিবে না ইহাদের মধ্যেই বহু শ্রেণী বিভাগ রহিয়াছে তন্মধ্যে প্রধান তিনটি শ্রেণীকাফের, মুশরিক মুনাফিক
এইজন্য দোযখে নানা প্রকারের শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হইয়াছে
       
কাফেরগণ আল্লাহর দুনিয়ায় বসবাস করিয়া আল্লাহর অশেষ নেয়ামত ভোগ করিয়া আল্লাহর অস্তিত্বকেই অস্বীকার করিয়াছে, সুতরাং তাহারা আল্লাহর বিদ্রোহীএই বিদ্রোহীদিগকে আল্লাহ পাক ক্ষমা করিবেন না; বরং তাঁহাদের শাস্তি হইবে সর্বাপেক্ষা অধিক দুনিয়ার মানুষের আইনেও চুরি, ডাকাতি, খুন প্রভৃতি অপরাধ অপেক্ষা রাজদ্রোহী অপরাধ গুরুতর এবং তাহারা ক্ষমা পাইতে 
পারে না
        যাহার পাপের পরিমাণ যত বেশী, তাঁহার শাস্তিও হইবে ততো বেশী, আর যাহার পাপের পরিমাণ যত কম, তাঁহার শাস্তিও হইবে ততো কম
যাহারা আল্লাহর অস্তিত্বে মোটেই ইমান আনে নাই, আল্লাহকে সৃষ্টি কর্তা, পালন কর্তা রক্ষা কর্তা বলিয়া মানে নাই, বরং নিজেকেই সর্ব শক্তিমান খোদা বলিয়া ঘোষণা করিয়াছে এবং যাহারা ঐসব লোককে খোদা বলিয়া স্বীকার করিয়াছে, তাহারা কাফের ইয়াদের শাস্তি হইবে সবচেয়ে কঠিন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে সুরায়ে মুলকে বলিয়াছেন---
 
তাহারা ইহাতে সর্বদা অবস্থান করিবে, ইহাই তাঁহাদের জন্য সমুচিত এবং আল্লাহ তাহাদিগকে অভিশম্পাত করিয়াছেন তাঁহাদের জন্য চিরস্থায়ী শাস্তি রহিয়াছে )
        তাহারা তাঁহাদের কৃত অপরাধের জন্য দোযখবাসী হইবে, কিন্তু
      

তাঁহাদের ইমানের জন্য একটা নির্দিষ্ট কাল দোযখের শাস্তি ভোগ করার পর তাহারা মুক্তি পাইয়া বেহেস্তে যাইবার অনুমতি পাইবে মেয়াদী দোযখীদের শাস্তি ভোগ করার মেয়াদ সকলের এক সমান হইবে না ইমানের তারতম্য গুনাহর পরিমাণ অনুযায়ী মেয়াদেও কিছু পার্থক্য হইবে
দোযখবাসীগণ প্রধানতঃ দুইভাগে বিভক্ত— মেয়াদী দোযখী চিরস্থায়ী দোযখী

মেয়াদী শাস্তি প্রাপ্ত লোকগণ হইবে মুমীণ অথচ গুনাহগার যাহারা আল্লাহর রাসুলকে বিশ্বাস করিত অথচ তাঁহাদের আদেশ নিষেধ মানিয়া চলিত না, অথবা কিছু কিছু পালন করিত না
        হাদীস শরিফে বর্ণিত আছেউম্মতে মুহাম্মাদীর মধ্যে যাহারা দোযখবাসী হইবে, তাঁহাদের মধ্যে যাহারা সর্বাপেক্ষা কম সময় দোযখে অবস্থান করিবে, তাহারা পাঁচশত বৎসর দোযখের  শাস্তি ভোগ করিবে


দোযখে অবস্থানের সময় এবং আযাবের বয়াবহতা Reviewed by tanvir ahmed on July 13, 2018 Rating: 5 ( আল্লাহ পাক মুনাফিক ও কাফেরদিগকে দোযখের অগ্নির ওয়াদা করিয়াছেন । --( যাহারা স্থীয় প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস স...
Newer Post
Previous
This is the last post

No comments: