রাসূলুল্লাহ(সাঃ)
বলেছেন, দোযখের শাস্তি সমূহের মধ্যে সবচাইতে হালকা শাস্তি এই যে, দোযখ বাসীদের
কে যে আগুনের জুতা পরিধান করানো হবে, তার উত্তাপে তাহাদের মাথার মগজ গলিয়া নাক ও কান দিয়া বাহির হইতে
থাকবে।
তিনি আরো
বলেছেন, দোযখবাসীদের পোশাক হতে যদি একখানা কাপড় আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী
স্থানে জুলাইয়া রাখা হয়, তবে দুনিয়ার সমস্ত প্রাণী তার ভীষণ উত্তাপে ও দুর্গন্ধে
মরে যাবে।
দোযখবাসীদের পায়ে যে বেড়ি পরানো
হবে, উক্ত বেরির এক টুকরা যদি দুনিয়ার কোন পাহাড়ের উপরে রাখা যায়, তবে তার
উত্তাপে পাহাড় জ্বলিয়া পুড়িয়া ছাই হইয়া দুযখের আগুন শক্তিস্তরে জমিন ভেদ করে
পুনরায় দোযখে প্রবেশ করবে ।
দুযখের আগুন দ্বারা যদি কোন ব্যক্তিকে দুনিয়ার পূর্ব প্রান্তে
শাস্তি প্রদান করা হয়, তবে পশ্চিমের শেষ প্রান্তে অবস্থিত লোকগণও তার উত্তাপে মরে যাবে।
হাদীস শরীফে আছে, দোযখবাসীদের উত্তপ্ত তামা ও গন্ধক এর পোশাক পরিধান করানো
হবে। অতঃপর তাদের মাথায় ফুটন্ত গরম পানি ডালিয়া দেওয়া হবে, তাতে তাদের শরীরের চামড়া ও মাংস খসিয়া খসিয়া পড়িবে ও
নাড়ীভূড়ি বাহির হইয়া আসবে কিন্তু পরমুহূর্তেই আবার তাদের চামড়া ও মাংস ঠিক হয়ে
যাবে এবং পুনরায় তাদের উপর পূর্বের মত আজাব চাপাইয়া দেওয়া হবে।
দোযখবাসীদিগকে দোযখে প্রবেশ
করানোর পরে তাহাদের তামা ও গন্ধক এর জামা,
পাজামা ও টুপি পড়ানো হবে, তাদের হাত- পা অগ্নিময় লৌহের জিনজিরা দ্বারা বাঁধা হবে এবং
মস্তকে ভীষন লৌহমুগুর দ্বারা
আঘাত করা হবে। প্রহারের ছুটে তাদের শরীর ছিন্নভিন্ন হইয়া সহস্র অংশে বিভক্ত হয়ে যাবে।
কিন্তু
আল্লাহর কুদরতে সেই মুহুর্তেই আবার তাদের শরীর পূর্বের মত হয়ে যাবে এবং ফেরেশতাগণ
আবার আঘাত করিতে থাকিবে।