তারা কুমারী হুরগণের অপরূপ রূপ লাবণ্য
দেখে আনন্দে
আত্মহারা হইয়া পড়বে।
তারা নিজ নিজ স্ত্রীদের অপরূপ সুন্দরী
এবং বিভিন্ন প্রকারের রত্নালংকারে সনজ্জিতা অবস্থায় পাবে।
তারা বেহেশতের আরাম প্রচ্ছায়ার নীচে
বালিশে হেলান দিয়ে
আল্লাহর মেহমানদারীর স্বাদ উপভোগ করবে।
তারা মনে মনে ইচ্ছা করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আকাঙ্ক্ষিত বস্তু তাদের
সামনে হাজির হবে।
তারা যখন যে বাসনা করবে তৎক্ষণাৎ তাদের সে
বাসনা পূর্ণ হবে।
বেহেস্তবাসীদের কোন বাসনা অপূর্ণ থাকবে না।
অতি মূল্যবান সবুজ রঙের রেশমি পোশাক থাকবে।
সেই সব পোষাক এত উজ্জল ও চমৎকার হবে যে,
যদি তার এক টুকরা দুনিয়ায় পতিত হত, তবে দুনিয়ার
সূর্য ও চন্দ্রের আলো আলোহীন হয়ে যেত।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন-- বেহেস্তে একখানা ছড়ি দেখার মত স্থানটুকু পৃথিবীর এবং
তার মধ্যস্থিত যাবতীয় বস্তুর মূল্য অপেক্ষাও অনেক বেশি হবে।
বেহেশতের মধ্যে চন্দ্র বা সূর্যের আলো থাকবে
না এবং
কোন প্রকার আলো জ্বালাবার প্রয়োজন ও হবে না।
আল্লাহর আরশ এর জ্যোতিতে উহা সর্বদা আলোকিত
থাকবে।
সেখান দিবা রাত্রি বলতে কোন কিছু থাকবে না। বেহেস্তে শীত বা
গ্রীষ্ম কিছুই অনুভব হবে না,
বর্তমান
যুগের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ অপেক্ষা হাজার হাজার গুণ আরামদায়ক হবে।
No comments: